১/ শীতে পিঠা তৈরির জন্য গুড় ও পাটালি খুবই জনপ্রিয়। যেমন – ভাপা পিঠা, দুধ চিতই, কুলি পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, নকশী পিঠা, ম্যারা পিঠা, তেলের পিঠা, দুধ-পুলি পিঠা, গুড়ের জিলাপি, ক্ষির পিঠা ইত্যাদি।
২/ খেজুরের গুড় ও পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করতে পারবেন।
৩/ ফিরনি, পায়েস, গুড়ের শরবত, গুড়ের চা এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ডিজার্ট আইটেম তৈরি করতে পারবেন।
৪/ গুড় ও পাটালি দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা যায়।
চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করা যায়?
অবশ্যই, চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করা যায়। গুড় একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এতে প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী।
কেন চিনির বদলে গুড় খাব?
চিনির বদলে গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যকর, কারণ এতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং পটাশিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান। এটি রক্তশুদ্ধি, হজম উন্নত করা, ও এনার্জি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চিনি শুধুমাত্র ক্যালোরি দেয়, কিন্তু গুড় প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
গুড় আর কি কি ভাবে ব্যবহার করতে পারি?
গুড় বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি: চায়ের সঙ্গে: চিনির পরিবর্তে গুড় দিয়ে স্বাস্থ্যকর চা বানানো যায়। মিষ্টি তৈরিতে: পায়েস, পিঠা, ক্ষীর বা সন্দেশে গুড় ব্যবহার করুন। পানীয়তে: লেবুর শরবত বা দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খাওয়া যায়। নাস্তার আইটেমে: রুটি, পরোটা বা পিঠার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খাওয়া যায়। মসলা মিক্সে: আচার, চাটনি বা সস তৈরিতে গুড় ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ানো যায়। ডেজার্টে: কেক, ব্রাউনি বা মুজি তৈরিতে গুড় মিষ্টি হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে গুড় খাবারের স্বাদ ও পুষ্টি দুটিই বাড়ায়।